ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার নিয়ম, শর্তাবলী এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের তালিকা জানুন। এখনই শুরু করুন!

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার নিয়ম

সহজ উপায়ে ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনতে চান?

আপনি যদি বাজেটের চাপ ছাড়াই একটি ওয়ালটন মোবাইল কিনতে চান, তবে কিস্তির মাধ্যমে ক্রয় করা আপনার জন্য একটি আদর্শ সমাধান। এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানাবো কিভাবে ওয়ালটন প্লাজা থেকে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কিনবেন, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কি কি, কিস্তির নিয়ম এবং সুবিধাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেব।


ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার শর্ত

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। এগুলো না মেনে কিস্তি নেওয়া সম্ভব নয়। নিচে শর্তগুলো দেওয়া হলো:

  • ডাউন পেমেন্ট : মোবাইলের মোট দামের ৪০% আগে পরিশোধ করতে হবে।
  • বাকি টাকা : বাকি ৬০% টাকা কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
  • কিস্তির সময়কাল : সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩ বছর (৩৬ মাস) পর্যন্ত কিস্তি দেওয়া যায়।
  • ক্রেতার যোগ্যতা : ক্রেতার বয়স ১৮-৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং তার মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে।

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

কিস্তি নেওয়ার জন্য নিচের ডকুমেন্টস গুলো জমা দিতে হবে:

  1. জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) : ক্রেতার এনআইডির ফটোকপি।
  2. পাসপোর্ট সাইজের ছবি : সদ্য তোলা ২ কপি ছবি।
  3. জামিনদারের ডকুমেন্টস : ২ জন জামিনদারের এনআইডি ফটোকপি এবং ছবি।
  4. নমিনির তথ্য : ক্রেতার পরিবারের একজন সদস্যকে নমিনি করতে হবে। নমিনির এনআইডি ফটোকপি এবং ছবি জমা দিতে হবে।

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার নিয়ম

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। নিচে ধাপগুলো দেওয়া হলো:

  1. ওয়ালটন প্লাজা ভিজিট : আপনার নিকটস্থ ওয়ালটন প্লাজায় যান এবং ম্যানেজারের সাথে কথা বলুন।
  2. ফরম পূরণ : ম্যানেজার আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে বলবে। ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করুন।
  3. ডকুমেন্টস জমা : উপরে উল্লিখিত সকল ডকুমেন্টস জমা দিন।
  4. অনলাইন আবেদন (যদি থাকে) : ওয়ালটনের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে কিস্তির আবেদন করতে পারেন।
  5. মোবাইল ডেলিভারি : আবেদন মঞ্জুরির পর মোবাইলটি আপনার ঠিকানায় ডেলিভারি দেওয়া হবে।

ওয়ালটন মোবাইলের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধের সুবিধা

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তি পরিশোধের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম সমর্থন করে। যেমন:

  • বিকাশ : বিকাশের "পে বিল" অপশনে ওয়ালটন প্লাজা বাছাই করে কিস্তি পরিশোধ করুন। (সার্ভিস চার্জ ১%)।
  • নগদ/রকেট : নগদ বা রকেটের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধ করা যায়।
  • ক্যাশ/কার্ড : ওয়ালটন প্লাজায় গিয়ে ক্যাশ বা কার্ডের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন।

ওয়ালটন মোবাইলের দাম ও মডেল

ওয়ালটনের কিছু জনপ্রিয় মোবাইল মডেল এবং তাদের দাম নিচে দেওয়া হলো:

NEXG N6 Lite
১৩,৬৪৮
HANON X20
২০,৯৯৮

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার সুবিধাসমূহ

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে:

  1. সর্বনিম্ন ডাউন পেমেন্ট : ১০% থেকে শুরু হয়।
  2. শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের জন্য বিশেষ ছাড় : শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ল্যাপটপ বা মোবাইলের জন্য বিশেষ কিস্তি সুবিধা পাওয়া যায়।
  3. পরিবার সুরক্ষা নীতিমালা : কিস্তি চলাকালীন সময়ে ক্রেতা মারা গেলে বাকি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয় এবং পরিবারকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
  4. জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট : কিছু ক্ষেত্রে জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্টে কিস্তি সুবিধা পাওয়া যায়।

কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

এই বিভাগে আমরা ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনা সম্পর্কিত সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং তাদের সহজ উত্তর দিয়েছি। এটি আপনাকে কিস্তির প্রক্রিয়া, শর্তাবলী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

১. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার জন্য কি ডকুমেন্টস লাগে?
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সদ্য তোলা ২ কপি)।
  • ২ জন জামিনদারের এনআইডি ফটোকপি এবং ছবি।
  • নমিনির তথ্য (পরিবারের একজন সদস্য)।
২. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তির সময়কাল কত?
  • সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩ বছর (৩৬ মাস)।
৩. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তির জন্য ডাউন পেমেন্ট কত?
  • মোবাইলের মোট দামের ৪০% আগে পরিশোধ করতে হবে।
৪. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তি পরিশোধের জন্য কি মাধ্যম ব্যবহার করা যায়?
  • বিকাশ, নগদ, রকেট, ক্যাশ, কার্ড ইত্যাদি।
৫. কিস্তি চলাকালীন সময়ে ক্রেতা মারা গেলে কি হবে?
  • কিস্তির বাকি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয় এবং পরিবারকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
৬. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার জন্য কি বয়স সীমা আছে?
  • হ্যাঁ, ক্রেতার বয়স ১৮-৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
৭. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার জন্য কি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা আছে?
  • হ্যাঁ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য বিশেষ কিস্তি সুবিধা রয়েছে।
৮. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার জন্য কি জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট সুবিধা আছে?
  • হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্টে কিস্তি সুবিধা পাওয়া যায়।
৯. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তির জন্য কি অনলাইনে আবেদন করা যায়?
  • হ্যাঁ, ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যায়।
১০. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তি নেওয়ার জন্য কি কোনো মাসিক আয়ের প্রয়োজন আছে?
  • হ্যাঁ, কিস্তি পরিশোধের জন্য ক্রেতার নির্দিষ্ট মাসিক আয়ের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি মোবাইলের দাম এবং কিস্তির পরিমাণের উপর নির্ভর করে।
১১. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তি নেওয়ার জন্য কি জামিনদার লাগে?
  • হ্যাঁ, কিস্তি নেওয়ার জন্য ২ জন জামিনদারের প্রয়োজন হয়।
১২. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তি নেওয়ার জন্য কি কোনো ফি লাগে?
  • হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ বা প্রসেসিং ফি লাগতে পারে।
১৩. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তি নেওয়ার জন্য কি কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন?
  • না, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই কিস্তি নেওয়া যায়।
১৪. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তি নেওয়ার জন্য কি কোনো সরকারি চাকরিজীবী হতে হবে?
  • না, সরকারি চাকরিজীবী না হলেও কিস্তি নেওয়া যায়। তবে ক্রেতার নির্দিষ্ট মাসিক আয়ের প্রয়োজন হতে পারে।
১৫. ওয়ালটন মোবাইল কিস্তি নেওয়ার জন্য কি কোনো বিশেষ অফার আছে?
  • হ্যাঁ, বিশেষ দিবস বা ঈদের সময় ওয়ালটন বিশেষ ছাড় এবং অফার দিয়ে থাকে।

শেষ কথা

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ এবং সুবিধাজনক। আপনি যদি মোবাইল কেনার জন্য পর্যাপ্ত টাকা না থাকলেও কিস্তির মাধ্যমে সহজেই একটি ওয়ালটন মোবাইল কিনতে পারেন। তবে কিস্তি নেওয়ার আগে অবশ্যই ওয়ালটনের কিস্তি নীতিমালা ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিন।

ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য!